হ্যাকিং পদ্ধতি
হ্যাকিং করতে হলে হ্যাকার প্রথমে যা করে তা হচ্ছে টার্গেট
যাদেরকে নিয়ে কাজ করবে তাদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করে। তাদের গতিবিধি নজরে রাখে। আর সে অনুযায়ী পদ্ধতি গ্রহন করে। হ্যাকিং এর জন্য বুদ্ধিমত্তাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় টুলস বা যন্ত্র। তারপরেও বিভিন্ন লেভেলের টুলস তারা ইউজ করে।হ্যাকিং এর জন্য হ্যাকার যে কোন পদ্ধতিই ব্যাবহার করতে পারে। আমি কিছু পদ্ধতির উল্যেখ করছি।
ফিশিংঃ ইন্টারনেটের শুরু থেকেই বলা চলে হ্যাকিং শুরু হয়, আর সেই শুরুটা ফিশিং দিয়েই হয়। একটা টোপ ফেলে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে তার দরকারী তথ্য যেমন ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে ফিশিং। এর জন্য ইমেইল, চ্যাটিং কিংবা খুব সাধারন কিছু ডাউনলোড আইটেম কে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।
ধরুন আপনি একটা ইমেজ ডাউনলোড করলেন, সেটার উপরে ক্লিক করতেই প্রথমে একটা মেলওয়্যার আপনার ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে গেল।এবার আপনি হয়ত ভাবলেন ইমেজ হয়ত অন্য কোন কারনে ডাউনলোড হয় নি তাই দ্বিতীয়বারে ডাউনলোড করলেন। এরকম আরো অনেক লিংক দিয়েই হ্যাকার আপনার খুব কাছে চলে আসে। আর সে জানতে পারে আপনি আসলেই কে, আইডেন্টিটি নিয়ে সে অনেক গবেষনা করে শেষে আপনার যা ক্ষতি করা যায় তা-ই সে করে। ফিশিং ইমেইল দিয়ে বেশির ভাগ বলে থাকে নিচের লিংকে অনেক টাকা আছে তুমি তোমার ব্যাংক ইনফরমেশন দিয়ে সেই লিংকে একটা একাউন্ট কর আমরা সব টাকা তোমার ফান্ডে ট্রান্সফার দিয়ে দেব। এরকম তথ্যে সাধারন ইউজার খুব সহজেই নিজের তথ্য দিয়ে আসে, আর ধরা খায় হ্যাকারের পাতানো কারেন্ট জালে।
সাবধানতাঃ পরিচিত কোন লিংক ছাড়া অন্য কোথাও নিজের জরুরী তথ্যসমুহ দিবেন না। সাইটে ঢুকার আগে খেয়াল করুন লিংক টি ভেরিফাইড কি না। এর জন্য চিত্রের মত যাচাই করে দেখা উচিত। তবে ফিশিং থেকে বাঁচা যাবে।
মেলওয়্যারঃ এর শক্তি অনেক বেশি প্রকট। একটি মেলওয়্যার বের হওয়ার প্রায় একমাসের মধ্যেও নির্নয় করা যায় না যে সেটি আসলেই কেমন। কারন এন্টিভাইরাসগুলো এসব মেলওয়্যার নিয়ে কাজ করে, তার জন্য ডিটেক্টর তৈরী করে এরপর আপনার কম্পিউটারে একটি আপডেট পাঠানোর মাধ্যমে আপনাকে প্রোটেক্ট করে। অনেক ধাপ আর অনেক কাজের পরে আপনার পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যাপারটি আসে। অনেক সময় নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হয়ও না। কারন অত্যাধুনিক মেলওয়্যার খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে। তো ভাবুন এত ধাপের মধ্যে আপনার পিসি কতটা নিরাপদ হতে পারে?
সাবধানতাঃ মেলওয়্যার যতই শক্তিশালী হোক না কেন সে হেঁটে কিংবা আপনার সাহায্য ছাড়া আপনার পিসিতে আসতে পারে না। আসলেও কাজ করতে পারবে না। পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, ইমেইল, সফটওয়্যার ডাউনলোড ইনস্টল, ওয়েব সাইট(বিশেষ করে ফ্রী পর্ন সাইট), টরেন্ট ডাউনলোড, ফাইল ট্রান্সফার ইত্যাদি কারনেই আপনার মেলওয়্যার আসতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো পরিচালনা করার আগে ভেবে দেখুন আপনার পিসিতে কী কী জরুরী বিষয় আছে যা ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে।এন্টিভাইরাস সব সময় সাহায্য করতে পারবে গ্যারান্টি নেই।
স্কেয়ারওয়্যার(Scare-ware)বা ভীতি প্রদর্শনঃ এই পদ্ধতিতে হ্যাকার ক্লায়েন্টকে ভয় দেখায়। এমন সব ভয় যা দেখে ব্যবহারকারী চিন্তিত হয়ে পড়েন। তখন সাথে সাথে হ্যাকার এসবের একটি সলিউশন বা সমাধান দেখিয়ে দেয়। সেই সমাধানটাই হয়ে যায় হ্যাকিং এর অস্ত্র বা টুলস। কিভাবে হ্যাকিং হয়? সহজ, ধরুন আপনার পিসির একটা সাধারন ত্রুটির বর্ননা দিয়ে হ্যাকার আপনাকে ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করলো। কোন একটা ইমেইলে অথবা পপ আপ উইন্ডো দিয়ে জানালো যে আপনার পিসি খুব মারাত্মক একটি মেলওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত।এখনি একটি টুলস নিতে বলবে। যা দেখতে অনেকটাই পরিচিত কোন এন্টিভাইরাসের ন্যায় দেখতে। আপনি যদি এই বিষয়ে খুব কম বোঝেন তবে নিঃসন্দেহে সেই প্রস্তাবিত টুলস ডাউনলোড করে ইনস্টল করে ফেলবেন। এতেই কাজ হয়ে গেল হ্যাকারের।সে পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিতে পারলো।
সাবধানতাঃ কখনোই এরকম প্রস্তাবে রাজি হবেন না। অপরিচিত কেউ জানে কিভাবে যে আপনার কি সমস্যা? যেহেতু সে জানে আপনার এই সমস্যা সেহেতু সে আরো বেশী জানার চেষ্টাই করছে। মনে রাখবেন, আপনার তথ্য অন্যে জানাটাই হ্যাকিং।
যাদেরকে নিয়ে কাজ করবে তাদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করে। তাদের গতিবিধি নজরে রাখে। আর সে অনুযায়ী পদ্ধতি গ্রহন করে। হ্যাকিং এর জন্য বুদ্ধিমত্তাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় টুলস বা যন্ত্র। তারপরেও বিভিন্ন লেভেলের টুলস তারা ইউজ করে।হ্যাকিং এর জন্য হ্যাকার যে কোন পদ্ধতিই ব্যাবহার করতে পারে। আমি কিছু পদ্ধতির উল্যেখ করছি।
ফিশিংঃ ইন্টারনেটের শুরু থেকেই বলা চলে হ্যাকিং শুরু হয়, আর সেই শুরুটা ফিশিং দিয়েই হয়। একটা টোপ ফেলে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে তার দরকারী তথ্য যেমন ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে ফিশিং। এর জন্য ইমেইল, চ্যাটিং কিংবা খুব সাধারন কিছু ডাউনলোড আইটেম কে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করা হয়।
ধরুন আপনি একটা ইমেজ ডাউনলোড করলেন, সেটার উপরে ক্লিক করতেই প্রথমে একটা মেলওয়্যার আপনার ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে গেল।এবার আপনি হয়ত ভাবলেন ইমেজ হয়ত অন্য কোন কারনে ডাউনলোড হয় নি তাই দ্বিতীয়বারে ডাউনলোড করলেন। এরকম আরো অনেক লিংক দিয়েই হ্যাকার আপনার খুব কাছে চলে আসে। আর সে জানতে পারে আপনি আসলেই কে, আইডেন্টিটি নিয়ে সে অনেক গবেষনা করে শেষে আপনার যা ক্ষতি করা যায় তা-ই সে করে। ফিশিং ইমেইল দিয়ে বেশির ভাগ বলে থাকে নিচের লিংকে অনেক টাকা আছে তুমি তোমার ব্যাংক ইনফরমেশন দিয়ে সেই লিংকে একটা একাউন্ট কর আমরা সব টাকা তোমার ফান্ডে ট্রান্সফার দিয়ে দেব। এরকম তথ্যে সাধারন ইউজার খুব সহজেই নিজের তথ্য দিয়ে আসে, আর ধরা খায় হ্যাকারের পাতানো কারেন্ট জালে।
সাবধানতাঃ পরিচিত কোন লিংক ছাড়া অন্য কোথাও নিজের জরুরী তথ্যসমুহ দিবেন না। সাইটে ঢুকার আগে খেয়াল করুন লিংক টি ভেরিফাইড কি না। এর জন্য চিত্রের মত যাচাই করে দেখা উচিত। তবে ফিশিং থেকে বাঁচা যাবে।
মেলওয়্যারঃ এর শক্তি অনেক বেশি প্রকট। একটি মেলওয়্যার বের হওয়ার প্রায় একমাসের মধ্যেও নির্নয় করা যায় না যে সেটি আসলেই কেমন। কারন এন্টিভাইরাসগুলো এসব মেলওয়্যার নিয়ে কাজ করে, তার জন্য ডিটেক্টর তৈরী করে এরপর আপনার কম্পিউটারে একটি আপডেট পাঠানোর মাধ্যমে আপনাকে প্রোটেক্ট করে। অনেক ধাপ আর অনেক কাজের পরে আপনার পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যাপারটি আসে। অনেক সময় নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব হয়ও না। কারন অত্যাধুনিক মেলওয়্যার খুব শক্তিশালী হয়ে থাকে। তো ভাবুন এত ধাপের মধ্যে আপনার পিসি কতটা নিরাপদ হতে পারে?
সাবধানতাঃ মেলওয়্যার যতই শক্তিশালী হোক না কেন সে হেঁটে কিংবা আপনার সাহায্য ছাড়া আপনার পিসিতে আসতে পারে না। আসলেও কাজ করতে পারবে না। পেনড্রাইভ, সিডি, ডিভিডি, ইমেইল, সফটওয়্যার ডাউনলোড ইনস্টল, ওয়েব সাইট(বিশেষ করে ফ্রী পর্ন সাইট), টরেন্ট ডাউনলোড, ফাইল ট্রান্সফার ইত্যাদি কারনেই আপনার মেলওয়্যার আসতে পারে। তাই এই বিষয়গুলো পরিচালনা করার আগে ভেবে দেখুন আপনার পিসিতে কী কী জরুরী বিষয় আছে যা ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে।এন্টিভাইরাস সব সময় সাহায্য করতে পারবে গ্যারান্টি নেই।
স্কেয়ারওয়্যার(Scare-ware)বা ভীতি প্রদর্শনঃ এই পদ্ধতিতে হ্যাকার ক্লায়েন্টকে ভয় দেখায়। এমন সব ভয় যা দেখে ব্যবহারকারী চিন্তিত হয়ে পড়েন। তখন সাথে সাথে হ্যাকার এসবের একটি সলিউশন বা সমাধান দেখিয়ে দেয়। সেই সমাধানটাই হয়ে যায় হ্যাকিং এর অস্ত্র বা টুলস। কিভাবে হ্যাকিং হয়? সহজ, ধরুন আপনার পিসির একটা সাধারন ত্রুটির বর্ননা দিয়ে হ্যাকার আপনাকে ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করলো। কোন একটা ইমেইলে অথবা পপ আপ উইন্ডো দিয়ে জানালো যে আপনার পিসি খুব মারাত্মক একটি মেলওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত।এখনি একটি টুলস নিতে বলবে। যা দেখতে অনেকটাই পরিচিত কোন এন্টিভাইরাসের ন্যায় দেখতে। আপনি যদি এই বিষয়ে খুব কম বোঝেন তবে নিঃসন্দেহে সেই প্রস্তাবিত টুলস ডাউনলোড করে ইনস্টল করে ফেলবেন। এতেই কাজ হয়ে গেল হ্যাকারের।সে পুরো কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নিতে পারলো।
সাবধানতাঃ কখনোই এরকম প্রস্তাবে রাজি হবেন না। অপরিচিত কেউ জানে কিভাবে যে আপনার কি সমস্যা? যেহেতু সে জানে আপনার এই সমস্যা সেহেতু সে আরো বেশী জানার চেষ্টাই করছে। মনে রাখবেন, আপনার তথ্য অন্যে জানাটাই হ্যাকিং।
No comments